Tuesday, August 18, 2015

ণ-ত্ব বিধান

ণ-ত্ব বিধান :
তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ‘ণ’ ব্যবহার করার নিয়মকেই বলা হয় ণ-ত্ব বিধান।

ণ-ত্ব বিধানের নিয়মঃ
১. ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে ’ণ’ হয়। যেমনঃ কণ্টক, মণ্ডল, খণ্ড, ঘণ্টা, কণ্ঠ।
২. ঋ, র, ষ- এদের পরে ‘ণ’ হয়। যেমন- ঋণ, তৃণ বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ।
৩.  ঋ, র, ষ-এই তিন বর্ণের পরে স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ এবং য, হ, ং থাকলে ‘ণ’ হয়। যেমন- কৃপণ, গ্রহণ, প্রমাণ, প্রাঙ্গণ।
৪. উত্তর, পর, পার, রবীন্দ্র, চন্দ্র, নার শব্দের পরে 'অয়ন'/'আয়ন' শব্দ হলে দন্ত্য ন-এর পরিবর্তে মূর্ধন্য ণ হয়। উদাহরণ- উত্তর+আয়ন=উত্তরায়ণ, পর+আয়ন=পরায়ণ, পার+আয়ন=পারায়ণ, রবীন্দ্র+আয়ন=রবীন্দ্রায়ণ, নার+আয়ন=নারায়ণ ইত্যাদি।
৫. পরি, প্র, নির- এই তিনটি উপসর্গের পরে ণ-ত্ব বিধান অনুসারে দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ হয়। উদাহরণ- পরিণত, প্রণাম, নির্ণয় ইত্যাদি।
৬. কতোগুলো শব্দে স্বভাবতই ণ হয়-
চাণক্য মাণিক্য গণ          বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা
কল্যাণ শোণিত মণি         স্থাণু গুণ পূণ্য বেণী
             ফণী অণু বিপণি গণিকা
আপণ লাবণ্য বাণী          নিপুণ ভণিতা পাণি
             গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ
চিক্কণ নিক্কণ তূণ             কফোণি বণিক গুণ
              গণনা পিণাক পণ্য বাণ
. ত-বর্গযুক্ত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন- বৃন্ত, বৃন্দ, গ্রন্থ।
৮. বাংলা ক্রিয়াপদের অন্তঃস্থিত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন- ধরেন , মারেন, করেন, যাবেন, খাবেন, হবেন, নিবেন, দিবেন।